‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ জানুয়ারিতে শুরু’

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: জানুয়ারি থেকে আমিন বাজারে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সাভারের আমিনবাজার ল্যান্ড ফিলে চলমান ডিএনসিসির ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট’ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে শুরু হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ জন্য প্রতিদিন প্রকল্পটির কাজ পাওয়া চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনকে তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। এসব কিনে নেবে বিদ্যুৎ বিভাগ।

তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বার বার চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা আলোর মুখ দেখতে পারিনি। চীন সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এ প্রকল্পে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। যেই জায়গাটিতে ল্যান্ড ফিল হয়েছে (আমিনবাজার ডাম্প) ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে।

মেয়র বলেন, দেশে এত যে বিল্ডিং ভাঙা হচ্ছে, সেই সব বিল্ডিং এর ওয়েস্টগুলোকে আমরা কাজে লাগাতে পারতাম না। আমরা বিল্ডিংয়ের ভাঙারিগুলো দিয়ে পাইপ বানাবো। আমরা বিভিন্ন ধরনের কনস্ট্রাকশন ব্লক বানাবো বিল্ডিংয়ের ভাঙারি দিয়ে। মেডিকেল ওয়েস্ট ও বিভিন্ন ধরনের ই-ওয়েস্ট আমরা কাজে লাগাব।

তিনি বলেন, এবারের অলিম্পিকের গোল্ড মেডেলগুলো তৈরি করা হয়েছে, ই-ওয়েস্ট থেকে। মেডেলগুলো তৈরি করা হয় মোবাইলের স্বর্ণ থেকে। আমরা কেন পারব না? আমাদের দেশে অনেক মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে। আজকে আমাদের মোবাইল ফোন, ফ্রিজ ও টেলিভিশন ফেলার জায়গা নেই। এগুলোকে আমরা ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে কাজ করব।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, স্মার্ট দেশ গঠনে বাংলাদেশের পাশে আছে চীন। পুরো প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে তারা। প্রথম পর্যায়ে ২৫ বছর প্রকল্পটির দায়িত্ব থাকবে চীনের সিএমইসি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের প্রকৌশলীরা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।